করুনা হল মহামারি।
সুতরাং এভাবে কেউ মরলে সে শহিদ।
তবে সেই ব্যাক্তিকে অবশ্যই মুসল্মান হতে হবে।।
এ সম্পর্কে হাদিস।।
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, পাঁচ প্রকার
মৃত শহীদ—মহামারিতে মৃত, পেটের পীড়ায় মৃত, পানিতে ডুবে মৃত, ধ্বংসস্তূপে
চাপা পড়ে মৃত এবং যে আল্লাহর পথে শহীদ হলো। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৮২৯)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর
রাসুল (সা.) বলেছেন, মহামারিতে মৃত্যু হওয়া প্রতিটি মুসলিমের জন্য শাহাদাত।
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৮৩০)
রাসুলের কথার পরে আর কি ভয় থাকতে পারে।।
তাই মুমিনের যেন বিন্দু পরিমাণ ভয় না থাকে।।
কতদিনের আশা শাহাদাত করবো।। যদি পুরন হয় তাহলে আমার চেয়ে আর কে খুশি হবে।
।
তবে রাসুল (স) আর বলেছেন এরকম মহামারি দেখা দিলে যে এলাকায় তা দেখা দিয়েছে সেখানে না যওয়ার আর সেখান থেকে মানুষ যেন বাহির না হয়।।
।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এটি আল্লাহর গজব বা শাস্তি, বনি ইসরাঈলের এক
গোষ্ঠীর ওপর এসেছিল, তার বাকি অংশই হচ্ছে মহামারি। অতএব, কোথাও মহামারি
দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থানরত থাকলে সে জায়গা থেকে চলে এসো না।
অন্যদিকে কোনো এলাকায় এটা দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থান না করলে সে
জায়গায় যেয়ো না। (তিরমিজি শরিফ, হাদিস : ১০৬৫)
এসময় মসজিদে না গিয়ে ঘরে সালাত আদায় করা এই হাদিসের মান্য করা হবে।
তাছাড়াও সাহাবারোও এরকম বিপদে মসজিদে না গিয়ে ঘরে সালাত আদায় করেছেন।।
।
মনে রাখবেন আল্লাহ মানুষদের উপর বিন্দু পরিমাণ জুলুম করেন না।। তাই মূর্খের মত আল্লাহকে গালি দিবেন না।।
এগুলো আমাদেরই হাতে কামানো , তিনি ত অনেক পাপ মাফ করে দেন্ ।।
আমার আল্লাহ কত মহান, তার কোন ভুল, তার সৃষ্টিতে কন ভুল নাই।
তিনিই বলেছেন সব কিছুই তাকদিরে লিখা আছে
আবার তিনিই বলেছেন চেষ্টা করার জন্য।
নিশ্চয় আল্লাহ সত্যবাদী, আর তার কথা মাথা পেতে মেনে নেয়াই হল বুদ্দিমানের কাজ।
যে মূর্খ সেই কেবল তর্ক করে।।
যাই হোক এত কিছুর পরও রাসুল আল্লাহর কাছে মহামারির জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছে ।
তাই আমাদের রাসুলের সুন্নত অনুসরণ করা উচিত
ছাড়া নবিজি (সা.) মহামারি থেকে বাঁচতে বেশি বেশি এই দোয়া পড়তে বলেছেন,
‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুনুনি, ওয়াল জুযামি,ওয়া
সাইয়ি ইল আসক্কাম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন